কটেজ, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট, মাঠ, ইকোপার্ক নিয়েই গড়ে উঠেছে ঢাকা রিসোর্ট।খোলামেলা, সাজান্ গোছানো,ছিমছাম ।সর্বোপরি নির্জন । রিসোর্টের চারপাশেই শাল-গজারির বন ও সবুজ-সুন্দর ।
ঢাকা রিসোর্টে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ হচ্ছে কটেজ এবং রেস্টুরেন্টের শৈল্পিকতা ।লাল রঙ্গের টিন, টালি দিয়ে আকর্ষণীয় চমৎকার ডিজাইনে তৈরি করা কটেজগুলো। ভেতরের রুমগুলো রুচিশীল আসবাবপত্রে সুসজ্জত ।প্রশস্ত ব্যালকনিও রয়েছে ডাইনিং-এ ।নির্মিত হচ্ছে অর্ধ শতাধিক রুম বিশিষ্ট ইকোনোমিক আবাসিক ব্যবস্থা। ৩টি করে কটেজের মধ্যে একটি কটেজের সামনে চমৎকার একটি সুইমিংপুল । চারদিকে দেয়াল ঘেরা ও টলমলে নীল জল। পুলে সাতার কাটুন বা পাড়ে বসে আড্ডা দিতে পারেন। যা নিসন্দেহে দারুণ এক অভিজ্ঞতা হবে।
ঢাকা রিসোর্টের রেস্টুরেন্টটি আক্ষরিক অর্থে দারুন ও অসাধারণ সুন্দর । শুধু বাহ্যিক আকর্ষণই নয়, এর ভেতরটাও বেশ সুন্দর। যা শৈল্পিক ডিজাইনে মনমুগ্ধকর । রেস্টুরেন্ট পাওয়া যাবে দেশি-বিদেশি মানসম্মত খাবার। রিসোর্ট পরিচালনা এবং খাবার আয়োজনে রয়েছে দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী ।কার পার্কিং এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ভাল।
রিসোর্টে আছে সবুজ তিনটি প্রশস্ত মাঠ । মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা যেতে পারে যা ভালো লাগবে । আছে একটি পুকুর, বেশ সুন্দর ও পুকুর
পাড়ে রয়েছে আরেকটি ইকো স্থাপনা ।
ঢাকা রিসোর্টের অন্যতম আকর্শণ ইকোপার্ক ।ইকো পার্কের একটু কৃত্রিমতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। গাছের ফাকে বাঘ, ভাল্লুক, হাতি নানান প্রাণীর ভাস্কর্য রাখা হয়েছে। এ আয়োজন বাচ্চাদের জন্য বেশ ভাল । সবুজের পাশাপাশি বর্ণিল ফুলের সমারোহ আবৃতে দেশি-বিদেশি নানা ফুলে ঢাকা রিসোর্টকে বৈশিষ্ট্যময় করেছে।
সব মিলিয়ে অবকাশ যাপন এবং পিকনিক আয়োজনের যাবতীয় সুব্যবস্থা মাধ্যমে শাল- গজারির বনে প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা এ অনবদ্য ঢাকা রিসোর্ট ।