অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম
Description AboutTourism or Parjatan Place of Munshiganj
এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক মুন্সীগঞ্জ জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের ইন্দ্রাকপুরে অবস্থিত এ দূর্গটি। মুঘল সুবাদার মীরজুমলা ১৬৬০ খ্রীস্টাব্দে বর্তমান জেলা সদরে পুরোনোইছামতি নদীর তীরে ইন্দ্রাকপুরে দূর্গটি নির্মাণ।
জেলার রামপালের রিকাবি বাজার ইউনিয়নের কাজী কসবা গ্রামে অবস্থিত বাবা আদম শহীদ মসজিদ। মূল প্রবেশ পথের শিলালিপি থেকে জানা যায়, সুলতান ফতেহ শার শাসনামলে ১৪৮৩ সালের মালিক কাফুর মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির বাইরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ১০.৩৫ ও ৩.৭৫ মিটার। এর দেয়াল প্রায় ২ মিটার পুরু। মসজিদের ওপরে দুই সারিতে ছয়টি গম্বুজ মসজিদের পাশেই ধর্ম প্রচারক বাবা আদমের কবর। জনশ্রুতি আছে, বল্লাল সেনের রাজত্ব কালে বাবা আদম ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আসেন। বলা হয় বল্লাল সেনের নির্দেশে বাবা আদমকে হত্যা করা হয়েছিল।
সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের সোমপারায় বৌদ্ধ পন্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের বসতভিটা। ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে এখানে তাঁর জন্ম। ১০৪১ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতের রাজার আমন্তণে দূর্গম হিমালয় অতিক্রম করে সে রাজ্যে যান। তিব্বতি ভাষায় গ্রন্থ রচনা করায় বৌদ্ধশাস্ত্রে মহাপন্ডিত দীপঙ্করকে তীব্বতের সম্মান জনক ‘অতীশ’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বজ্রযোগিনীতে থাই স্থাপত্যরীতিতে তৈরি একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। জাপানসহ অনেক দেশ থেকে বৌদ্ধ পর্যটক ও পুণ্যার্থী এখানে সফর করে থাকেন।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত পাশাপাশি দুটি মঠ। এর বড়টি শিবের উদ্দেশ্যে এবং ছোটটি কালীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। শিবমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে এবং কালীমন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মিত। জানা যায়, রুপচন্দ্র নামের এক বনিক এর নির্মাতা।
বল্লাল বাড়ি
রামপাল দিঘির উত্তর পাশে অবস্থিত রাজা রাজা বল্লাল সেনের প্রসাদ। বর্তমানে সংলগ্ন পরিখার চিহ্ন থাকলেও প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
মীর কাদিমপুল
মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তর- পশ্চিমে মীরকাদিম খালের ওপরে নির্মিত মুঘল আমলের সেতু। বেশ কয়েকবার এটি সংস্কার করা হয় এবং এদেশে প্রায়শই যা করা হয়- সংস্কারের সময় এর আদিরুপ রক্ষা করার চেষ্টা করা হয় নি। সে কারনে এখন এর মূল চেহারা বোঝা প্রায় অসম্ভব।চুন- সুরকিতে তৈরি ৫২.৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির নির্মাণকাল জানা যায় নি।
শ্যামসিদ্ধির মঠ
জেলার শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগর বাজারের পশ্চিম দিকে শ্যামসিদ্ধি গ্রামে অবস্থিত এ মঠ। মঠটির দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথেরওপরের ফলক অনুযায়ী ১৮৩৬ সালে জৈনিক শুম্ভনাথ মজুমদার এটি নির্মাণ করেন। ইটনির্মিত এ মঠের দৈর্ঘ্য ৬ মিটার এবং উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার।