Welcome Guest | Login | Signup


Tourism or Parjatan Place of Kushtia | Bangla
Untitled Document
অবসর সময়ে ভ্রমণ করুন ও দেশ সম্পর্কে জানুন - পর্যটনবিডি.কম

Description AboutTourism or Parjatan Place of Kushtia

এ পৃষ্ঠা থেকে ট্যুরিষ্ট বা পর্যটক কুষ্টিয়া জেলার ভ্রমন তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। যা তাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। শুধু তাই নয় এখনকার প্রতিটি ভ্রমন স্থানের নামের সাথে একটি তথ্যবহুলভিডিও-এর হাইপারলিংক করা আছেযার মাধ্যমে ভিডিও দেখে স্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে ও ভ্রমণ সম্পর্কে তারা আগ্রহীহয়ে উঠবে।

বাউল সম্রাট লালন শাহের সমাধি

 

কুষ্টিয়া শহরের পাশেই কুমারখালীর ছেঁউড়িয়া এলাকায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাউলসম্রাট লালন শাহ্‌। ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১ কার্তিক ইংরেজি ১৭৭২ সালে  ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে মতান্তরে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর ভাঁড়রা গ্রামে তাঁর জন্ম। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১ কার্তিক, ইংরেজি ১৮৯০ সালের  ১৭ অক্টোবর পরলোক গমন করেন বাউলসম্রাটকে  এখানেই সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর পরে তাঁর শিষ্যরা এখানে গড়ে তোলেন লালন আখড়া। ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের বর্তমান সমাধিসৌধটি ১৯৬৩ সালে নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমা (মার্চ-এপ্রিল) এবং তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে লাখো ভক্ত সমবেত হন লালন আখড়ায়। এ সময় এখানে তিন দিন ধরে চলে সাধুসেবা, লালনের গানসহ লোকজ মেলা।

মীর মোশাররফ হোসেনের বাড়ি
 

কুষ্টিয়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার এবং ছেঁউড়িয়া থেকেদুই কিলোমিটার দূরে কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় রয়েছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক বিষাদ-সিন্দুর অমর স্রষ্টা মীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটা। ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর এখানেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির বাড়িতে বর্তমানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি গ্রন্থাগার আছে। কবির বাড়িঘরের এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কবির স্মৃতিবিজড়িত আমগাছটিও মারা গেছে কয়েক বছর আগে। শহর থেকে নিজস্ব বাহন কিংবা রিকশা-ভ্যানে যাওয়া যায় লাহিনীপাড়ার এ জায়গাটিতে।

 

জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের ঐতিহাসিক কুঠিবাড়ি। শিলাইদহের আগে নাম ছিল খোরশেদপুর। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার গ্রামটি কিনে নেয়ার আগে এখানে একটি নীলকুঠি ছিল। শেলী নামে একজন নীলকর এটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। গড়াই এবং পদ্মা নদীর মিলিত প্রবাহের ফলে গভীর একটি ‘দহ’ বা ঘূর্ণিস্রোত থেকে গ্রামটির নাম হয় শেলীদহ। পরবর্তী সময়ে তা রূপ নেয় শিলাইদহতে। ১৮০৭ সালে রামলোচন ঠাকুরের উইল সূত্রে রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকনাথ ঠাকুর এ জমিদারির মালিকানা পান। জমিদারি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথ সর্বপ্রথম শিলাইদহে আসেন ১৮৮৯ সালের নভেম্বর। কৈশোর ও যৌবনের বিভিন্ন সময় জমিদারি দেখাশোনা করতে কবি এখানে আসতেন এবং কুঠিবাড়িতেই থাকতেন। একসময় পদ্মার ভাঙনে কুঠিবাড়িকে গ্রাস করার উপক্রম হলেও বাড়িটি ভেঙে নতুন কুঠিবাড়ি নির্মাণ করা হয়। ১৮৯১-১৯০১ সালে অল্প বিরতিতে কবি নিয়মিত এখানে অবস্থান করতেন। জানা যায়, এখানে বসেই কবি রচনা করেন তাঁর অমর সৃষ্টি ‘সোনার তরী, ‘চিত্রা’, ‘চৈতালী’, ‘কথা ও কাহিনী’, ‘ক্ষণিকা’, ‘নৈবেদ্য’ ও ‘খেয়ার অধিকাংশ কবিতাসহ আরো অনেক উল্লেখযোগ্য রচনা। এখানে বসেই ১৯১২ সালে কবি তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন।

প্রায় ১১ একর জায়গার ওপর সবুজ বৃক্ষের বাগানের ভেতরে রয়েছে দোতলা এ কুঠিবাড়ি। নিচতলা ও দোতলায় কেন্দ্রীয় হলঘরসহ এতে মোট ১৫ টি কক্ষ আছে। দোতলা ভবনের উপরে পিরামিড আকৃতির ছাদ ভবনটিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করেছে। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাদুঘর। সপ্তাহের রবি ও সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘর। রবি ও সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। ২৫ বৈশাখ কবির জন্মবার্ষিকী এবং ২২ শ্রাবণ মৃত্যুবার্ষিকীতে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিলাইদহে।

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ   

 

জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় অবস্থিত পদ্ম নদীর ওপর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। ১৯৮০ সালে শুরু করে এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৯২ সালে। ১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এ সেতুতে রেল চলে। পরে ১৯১৫ সালের মার্চ হার্ডিঞ্জ সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্পাত নির্মিত এ ব্রিজটি তৈরিতে তৎকালীন প্রায় ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৬৫ টাকা ব্যায় হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাতে এর বারোতম স্প্যানটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।

লালন শাহ্‌ সেতু 

 

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশাপাশি প্রায় তিনশ মিটার দুরত্বে পদ্মা নদীর ওপর অবস্থিত লালন শাহ সেতু। প্রায় ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮.১ মিটার প্রশস্ত এ সেতুটি ২০০৪ সালে চালু হয়। এ অঞ্চলের বাউলসম্রাট ফকির লালনের নামে এর নামকরন করা হয়। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে শীতে এ সেতু নিচে থাকে ধু ধু বালুচর। বর্ষায় প্রমত্তা পদ্মা। ফলে এ জায়গাটিতে এ দুই সময়েই ভ্রমণে মিলবে ভিন্ন স্বাদ।

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

 

জেলা শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক থেকে প্রায় ৬.৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত এ মসজিদ। জনশ্রুতি আছে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে ঝাউদিয়ার  জমিদার শাহ্‌ সুফি আহমদ আলী ওরফে আদারী মিয়া মসজিদটির নির্মাণ করেন। তিন গম্বুজবিশিষ্ট চারকোনায় চারটি মিনার সংবলিত এ মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।

 
 

Important Tourism Information of Bangladesh

by md. abidur rahman | parjatanbd | A Home of Tourism | Information Written and Managed By : Shamima Sultana  | শামিমা সুলতানা

Hotel of Bangladesh
Details>>

Related Links


Welcome
Address: Mohammadpur, Dhaka-1217
Mobile: , Webmail

All right reserved by : Parjatanbd.com | Design & Developed by : Web Information Services Ltd